নয়াদিল্লি: প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি তো বটেই, আরও নানা কারণে ভারতে রকেটগতি পেট্রোল-ডিজেলের (diesel a gasolina) দামে।। আর তার প্রভাব সরাসরি পড়ছে আমজনতার পকেটে। গাড়ি বা বাইকের পিছনে খরচাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কিন্তু গাড়ি তো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সাশ্রয়ের কথা মাথায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন পদ্ধতি আনছে বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা।। জ্বালানির দিক থেকেও নানা ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। গাড়ি কেনার সময় গাড়ি জ্বালানিতে কতটা সাশ্রয়ী তা খোঁজ করেন ক্রেতারা।। তার জন্য়ই সেই ফিচারেও নজর রয়েছে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির। এবার গাড়িপ্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ অপশন নিয়ে এল হোন্ডা (Honda)। তারা আনল Honda City E: HEV.
দারুণ মাইলেজ: গাড়ির মাইলেজ নিয়ে দুরন্ত দাবি করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা।তাদের দাবি প্রতি লিটারে ২৬.৫ কিলোমিটার (26.5 kmpl) চলবে গাড়িটি।সেটা হলে সেডান তো, ভারতের বাজারে চলা সব গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি গাড়ি গাড়ি হবে।।।
কিন্তু এত সাশ্রয় কীভাবে? এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে হোন্ডার উদ্ভাবনী শক্তি। কারণ Honda City E: Hev একটি হাইব্রিড গাড়ি। এতে ২ টি ইলেকট্রিক মোটর (motor elétrico) থাকছে, তার সঙ্গেই থাকছে একটি পেট্রোল ইঞ্জিন।। এর সঙ্গেই শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক মাধ্যমেই এই এই গাড়িটি চলতে পারে। সংস্থা জাানাচ্ছে, জোড়া ইলেকট্রিক মোটর এবং সিস্টেমে সিস্টেমে carregamento próprio-এর রয়েছে অর্থাৎ অন্য বৈদ্যুতিক গাড়িগুলির মতো একে আলাদা করে চার্জ দিতে হবে না। আবার এতে পেট্রোলও কম প্রয়োজন হবে হবে কারণ পেট্রোল-ইলেকট্রিক হাইব্রিড (híbrido) মডেল। ফলে সাধারণ পেট্রোল তুলনায় এই গাড়ির মাইলেজ ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি হবে।
ইঞ্জিনের ক্ষমতা: Honda City E: Hev- তে ইঞ্জিন রয়েছে তার ক্ষমতা ক্ষমতা 90bhp, আবার জোড়া ইলেকট্রিক মোটর একসঙ্গে 126ps পাওয়ার আনতে পারে।গাড়িটিতে গিয়ারবক্সও নেই।কারণ একটি বৈদ্যুতিক মোটরের (motor elétrico) মাধ্যমে সরাসরি চাকায় পাওয়ার সার্ভ করা হয়।।
কাজ কীভাবে? একটি নির্দিষ্ট গতিবেগ পর্যন্ত ইলেকট্রিক মোডে চালানো যাবে গাড়িটি। সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার (40 km / h) গতিবেগ পর্যন্ত এইভাবে চলবে। তার চেয়ে বেশি গতিবেগে কাজ শুরু করবে পেট্রোল ইঞ্জিন (motor a gasolina)। অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ির মতোই HONDA CITY E: HEV- তে প্যাডেলের মাধ্যমে frenagem regenerativa রয়েছে।।।। এছাড়াও আরও একাধিক আধুনিক ফিচার থাকছে এই মডেলে। Mitigação de partida da pista, faixa de manutenção, viga alta automática e controle de cruzeiro adaptativo থাকছে। এছাড়াও নজর দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার দিকেও। চারটি ডিস্ক ব্রেক.৬ টি এয়ারব্যাগ রয়েছে এই মডেলে।থাকছে আধুনিক হ্যান্ড ব্রেক (freio de mão alimentado)-এর ব্যবস্থাও।
দাম কত? ফিচারের সঙ্গে সঙ্গে যেকোনও গাড়ির দামের দিকেও নজর পড়ে ক্রেতার।তবে এই মডেলের দাম এখনও সামনে আসেনি।আগামী মে মাসের মধ্যে ZX Trim সামনে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে দামের বিষয়টি।।
আরও পড়ুন: উঠে গেল ১০ শতাংশ শুল্ক, স্বস্তির নিঃশ্বাস বস্ত্রশিল্পে বস্ত্রশিল্পে